ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে মুসলিমদের উপর হামলা ও মসজিদ ভাঙচুর করার ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের প্রতিবাদ

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মসজিদে আগুণ, নারীর শ্লীলতাহানি ও বাড়ী-ঘর ও দোকান পাঠ ভাঙচুরের ঘটনায় কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান। আজ (৩১ অক্টোবর) তার ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিবৃতি দেন এবং বলেন,বাংলাদেশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভা/রতের ত্রিপু/রাসহ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে মুসলিম নির্যাতন, মসজিদ, বাড়িঘর, দোকানপাটে আগুন এবং ভা/রতের উপনির্বাচনে ৩ গুণ বেশি ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করে বি/জেপি নেতার বক্তব্য কিসের ইঙ্গিত বহন করে? বাংলাদেশের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে ভা/রতের বি/জেপি সরকার এবং বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ সরকার। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে হামলা হচ্ছে, মন্দির ভাংচুর হচ্ছে, সেই দোহাই দিয়ে ভা/রতে সংখ্যালঘু মুসলিম নির্যাতনকে বৈধতা দিয়ে রক্তপাত, ভাংচুর ঘটিয়ে বি/জেপির ভোট ব্যাংক বৃদ্ধি করা হচ্ছে এবং বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান হয়েছে বলে ভিন্নমতের উপর দমন-পীড়ন করে আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার পথ তৈরি করা যেন একই সূত্রে গাঁথা। একদিকে প্রতিমন্ত্রী মুরাদের মত লোকদের দিয়ে মানুষ খেপিয়ে মাঠে নামানো হয় এবং অন্যদিকে মিছিলে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়, গায়েবি মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষকে দমন-পীড়ন করা হয়। এই হচ্ছে অপরাজনীতি। এই রাজনীতি যারা বুঝে না, তারা ফাঁদে পা দিয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দমনের নামে ভিন্নমতকে দমনপীড়নের জন্য সরকারকে সুযোগ করে দেয়। মাদকাসক্ত, ভবঘুরে ইকবালকে দিয়ে কারা মন্দিরে কুরআন শরীফ রাখলো, তার হদিস কখনোই মিলবেনা। এসব খেলার একটাই উদ্দেশ্য ভিন্নমতকে দমনপীড়ন করে ক্ষমতায় থাকা ছাড়া আর কিছু নয়। এবং সেই উদ্দেশ্য শতাংশ সফল হয়েছে!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন