শনিবার রাতে রফিকী সাহেবকে হত্যার উদ্দেশ্যে কী করা হয়েছিল?

শনিবার রাতে মুফতী রিজওয়ান রফিকী সাহেবের মাহফিল ছিলো বাংলাদেশের এক উজ্জল নক্ষত্র আল্লামা খুরশিদ আলম কাসেমী সাহেবের গ্রাম সোনাইমুড়ির পশ্চিম ছাতারপাইয়া। অত্র এলাকার পাশেই হেযবুত তওহীদের বর্তমান এমাম হুসাইন সেলিমের বাড়ি পোরকরা গ্রামে। এখানেই সেলিম তার সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়ে এক বিরাট কুফরী রাজত্ব গড়ে তুলেছে অলরেডি। কাসেমী সাহেবের নির্দেশে রফিকী সাহেব শেষে বয়ান করেন। বয়ানে ওঠার আগেই হুজুরকে বলা হয়, সরকার বিরোধী কোনো বয়ান না করার জন্য। হুজুর বলেন, এখানে আলোচনা হবে আজ শুধু হেযবুত তওহীদের কুফরী আকীদার মুখোশউম্মোচন নিয়ে। যথারিতি বয়ান চলা অবস্থায় দায়িত্বে থাকা এক এসআই কে সেলিম নিজে ফোন করে বলেন, যেন হেযবুত তওহীদ নিয়ে কোনো আলোচনা না করা হয়। হুজুরকে বলার পর হুজুর বললেন, আমি বলবোই। এ ব্যাপারে আমি কারো কোনো নির্দেশ মানি না। সেলিম ফোন দিয়ে এসআইকে বলেন, রফিকী সাহেবকে অন্তত ১০ মিনিটের জন্য হলেও গ্রেফতার করুন, আমি আপনাকে ৫০ হাজার টাকা দেবো। এসআই সাফ জানিয়ে দিলেন, এটা আমি করতে পারবো না। তাদের এ কথাপোকথন পাশে থাকা আয়োজকদের দুজন শুনেছেন। নিয়মতান্ত্রিকতার সাথে আলোচনা শেষ করে ১২ টার পর চলে যাবার উদ্দেশ্যে হুজুর গাড়িতে বসেন। হুজুরের গাড়ি সোনাইমুড়ি পার হওয়ার পর প্রথমত তিনটি মটরসাইকেল হুজুরকে ফলো করে। সবার মাথায় একই ধরণের হেলমেট ছিলো এবং সবার হাতে ছিলো কিরিচ। মাহফিল কমিটি হুজুরের সাথে ছিলেন সেফটির জন্য। প্রথমে একটি মটরসাইকেল হুজুরকে ওভারটেকিং করার পর উনাদের কাছে সন্দেহের উদ্রেক হয়। কারণ ঐ মটরসাইকেল এবং লোক দুটি মাহফিল স্থলে দুপুর থেকে এদিক-সেদিক অবস্থান করায় সবার সন্দেহ হচ্ছিলো। হুজুর গাড়িতে তেল নেবেন বলে একটু সময়ের জন্য রাস্তার পাশে দাড়াতেই একই রকম হেলমেট ও কিরিচধারী দুটি মোটরসাইকেল হুজুরের গাড়ি ওভারটেক করে এবং হুজুরের গাড়ির দিকে বেশ নজর বুলিয়ে নেয়। ঐ দুটি মটরসাইকেলে থাকা লোকগুলোকেও মাহফিল কমিটির লোকজন মাহফিলস্থলে দেখেছিলো। আয়োজকরা এসে হুজুরকে বললেন, হুজুর দয়া করে দ্রুত পেছনে গাড়ি ফেরান। হুজুর রাজি না হলেও জোর করে হুজুরকে পেছনে পাঠিয়ে দেন এবং বলেন, হুজুর আল্লাহর ওয়াস্তে আজ সামনে যাবেন না। আয়োজকদের একটি মটরসাইকেল ওখানে কিছু সময়ের জন্য অবস্থান করে। হঠাৎ তারা দেখতে পান পোরকরা গ্রামের দিক থেকে দুটি-দুটি করে প্রায় ৫০ টি মটরসাইকেল হুজুরের পিছু নেন। ইতিমধ্যে হুজুর পেছন দিক গ্রহণ করে সোনাইমুড়ি চলে যান এবং গ্যাস নিতে পাম্পে চলে যান। প্রত্যক্ষদর্শী আয়োজকরা সন্ত্রাসীদের প্রত্যেকের হাতে কিরিচ দেখে ভয় পেয়ে দ্রুত হুজুরের সাথে থাকা তাদের লোকদের ফোন দিয়ে সেভ হতে বলেন। এদিকে সন্ত্রাসীরা হুজুরকে আসতে দেরি হচ্ছে দেখে আবার পিছু ফেরেন। তারা সোনাইমুড়ি মোড়ে এসে খবর নিয়ে গ্যাস পাম্পের দিকে প্রায় ২০ টি মটরসাইকেল পিছু নেন। কিন্তু ইতিমধ্যে হুজুরকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে আল্লামা খুরশিদ আলম কাসেমী সাহেবের বাড়িতে সেভ করা হয়। আয়োকজদের একটি মোটরসাইকেল সোনাইমুড়ি মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। হঠাৎ সেই কালো হায়েস সেখানে এসে জিজ্ঞাসা করেন যে, একটি প্রাইভেট কার (রফিকী সাহেবের গাড়ি) ও ২/৩টি মটরসাইকেল কি এ দিকে গেছে নাকি? ফলের দোকানদার বললেন, জানি না। এভাবে সারারাত চারিদিকে সন্ত্রাসীরা পুরো সোনাইমুড়ি এলাকা জুড়ে তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। আল্লাহ হুজুরকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে হিফাযত করুন। আমীন! আহনাফ আব্দুল্লাহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন