আবরার ফাহাদের খুনীদের রায় বেরিয়েছে,২৫জনের মধ্যে ২০জনেরই মৃত্যুদন্ড।বাকি ৫জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে। কোথায় গেল হারিয়ে ফেলা সোনালী দিন।ভর্তি পরীক্ষায় বুয়েটের মেরিট লিস্টে যেদিন তাদের নাম উঠেছিলো সেদিন পরিবার সমাজ তথা সারা মহল্লার মানুষ চিনেছিল অদম্য উচ্ছাসে ভরা একজন প্রানবন্ত মেধাবী হিসেবে !
আর আজ, পরিবারগুলোর কি অবস্থা! কেমন আছে সেই বাবা মায়েরা। সব বাবা মায়েরা সন্তানকে সুশিক্ষা দিতে পারেন না, সব সন্তানের অন্তরে দ্বীনের নূর তৈরি হয় না। কিছু ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের ভুল প্যারেন্টিং সন্তানের ধ্বংসের কারন হয়ে যায়।
যার জ্বলন্ত উদাহরণ আজকের রায়ের এই অদম্য মেধাবী কিন্তু ধর্মীয় আদর্শহীন একদল তরুন।
সবচেয়ে বড় কথা, আমরা সন্তানকে উচ্চ শিক্ষিত করতে গিয়ে ধর্মীয় আদর্শকে একেবারে অপ্রয়োজনীয়র কাতারে ফেলে দেই।ফলশ্রুতিতে দ্বীন -ধর্মহীন একটা শিক্ষার দ্বারা আমাদের কলিজার টুকরো সন্তানেরা একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে না।
আজকে সবধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকান,!আদর্শের বিন্দুমাত্র চর্চা নেই, শিষ্টাচার নেই।এমনকি আমাদের শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকদের মাঝেও সেই নীতি-নৈতিকতার বালাই নেই ।রাজনৈতিক পরিচয় দিতেই ওনারা বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
একজন শিক্ষার্থী যখন শিক্ষকের রাজনৈতিক পরিচয় জেনে যান তখন স্বভাবতই শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া বা ঘৃণার একটা আবহ তৈরি হয়।
এমতাবস্থায় উনি আদর্শ শিক্ষক হওয়ার দৌড়ে অনেক পিছিয়ে পড়েন বলে মনে করি।
তাই বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতে ধর্মীয় আদর্শের পরিপূর্ণ চর্চা অব্যাহত রাখা এবং শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করা উচিত।
প্রিয় আবরার ফাহাদের আম্মু, আপনাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মত ভাষা পৃথিবীর কোন অভিধানে আছে বলে আমার জানা নেই। নিঃসন্দেহে আপনি একজন সুসন্তানের গর্বিত মা!
একজন মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে সফলতার মানদণ্ডে আপনার ছেলে উত্তীর্ণ কিন্তু যারা তাকে নির্মমভাবে শহীদ করেছে তারা মেধাবী হলেও সফলতার মানদণ্ডে চুড়ান্তভাবে ব্যর্থ।
মহান আল্লাহ আবরার ফাহাদ ভাইয়ের সকল দোষত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতের সর্বোচ্চ আসনে আসীন করুন। আমিন